মোঃ মনির হোসেন
আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক (এজিএম)
আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক
আঞ্চলিক কার্যালয়,বগুড়া।
বঙ্গবন্ধু তুমি এই বাংলার সেরা কবি ৭ ই মার্চের ভাষণ তোমার শ্রেষ্ঠ কবিতা। তোমার কবিতার ঈপ্সিত অনুপ্রেরণায় জাতি পেয়েছে এই বঙ্গমাতা। তোমার এই কবিতা হলো স্বাধীনতা সংগ্রামের আহবান। সেই আহবানে সাড়া দিয়ে বাঙালী হয়েছে মহিয়ান। হে কবি- তুমি চেয়েছো বাংলার মানুষের শান্তি, মুক্তি আর বাঁচার অধিকার। যে অধিকার হরণ করে নিয়েছিল তৎকালীন ইয়াহিয়া সরকার। সে অধিকার রক্ষায় সয়েছো তুমি জেল, জুলুম আর অত্যাচার। বঙ্গবন্ধু তুমি স্বাধীনতার অনুপ্রেরণা, তুমি বাংলাদেশ সৃষ্টির শক্তি। তোমার জন্যই বাঙালী পেয়েছে, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু তুমি জাতিকে শিখিয়েছ অধিকারের অমিয় বাণী। “আমি প্রধান মন্ত্রীত্ব চাইনা মানুষের অধিকার চাই।” এই অধিকারকে আকড়ে ধরেই মোরা বাংলায় নিয়েছি ঠাঁই। কবি বাঘের হুংকারে গর্জে উঠে পাকিস্তানি বর্বরদের কে বলেছেন, “ সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। আমরা যখন মরতে শিখেছি তখন কেউ আমাদের দাবাতে পারবে না ” বাঙালীদের এই দৃঢ়তার কাছে পাক হানাদারেরা পেয়েছে ভয়। তাই বাংলার মুক্তি সেনারা ৯ মাসের যুদ্ধে বাংলাদেশ করেছে জয়। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে শুনিয়েছেন কবি দৃঢ় অঙ্গীকারের বাণী:- “রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো -ইনশাআল্লাহ।” এই দৃঢ়তাকে পুঁজি করেই আমরা পেয়েছি মহান স্বাধীনতা। বাঙ্গালী হয়েছে চির শত্রুমুক্ত ছিনিয়ে এনেছি লাল-সবুজের পতাকা। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ হে-বাঙালী- হিমালয়ের মতো তোমার দৃঢ়তা। বজ্রের মতো তোমার কঠিন হুংকার সমুদ্রের মতো তোমার হৃদয়ের প্রসস্থতা। তুমি বাংলার মানুষের জন্য বিলিয়ে দিয়েছো সর্বস্ব সব বিলিয়ে দিয়ে হয়েছো তুমি নিঃস্ব। তুমি আজীবন বেঁচে থাকবে বাঙালীর মনে, তুমি তোমার কবিতায় আসবে বারে বারে। অমর কীর্তিমান অবিনশ্বর তুমি- তোমাকে আমরা সালাম জানাই নত শিরে।